#দ্বীপ সুরক্ষা ও উন্নয়ন আইন
#কৃষি জমি সুরক্ষা ও ব্যবহার আইন
#প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন
#বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন
অনলাইন ডেস্কঃ যুগোপযুগী আইন প্রণয়নে জাতীয় সংসদকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। এরমধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে দ্বীপ সুরক্ষা ও উন্নয়ন আইন; কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কৃষি জমি সুরক্ষা ও ব্যবহার আইন; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন এবং বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন প্রণয়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সাক্ষরিত রায়ে এ বিষয়ে নির্দেশ দেয়া হয়।
এসময় ‘দ্বীপ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ নামে একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠনে দ্বীপ উন্নয়ন আইন দ্রুত প্রণয়নের জন্য জাতীয় সংসদকে পরামর্শ প্রদান করে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। রায়ে, কৃষি জমি সুরক্ষা ও ব্যবহার আইন, ২০১৬ অতি দ্রুত আইন আকারে পাশ করার জন্যও জাতীয় সংসদকে পরামর্শ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
রায়ে বলা হয়েছে, জাপান ও ফিনল্যান্ড এর প্রণীত আইন যতটুকু সম্ভব অনুসরণ ও সমন্বয় করে আমাদের দেশের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘দ্বীপ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ নামে একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠন এর নিমিত্তে দ্বীপ উন্নয়ন আইন দ্রুত প্রণয়নে জাতীয় সংসদকে পরামর্শ প্রদান করা হলো।
আরও পড়ুন এসডিজি বাস্তবায়নে আইন প্রচার ও প্রয়োগ করুন
এর আগে ২০২২ সালের ২ জুন রায়টি দেয়া হয়। দুই বিচারপতির স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে আজ ১৫ পৃষ্ঠার এ রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এই রায় ও আদেশের অনুলিপি সকল মন্ত্রী ও জাতীয় সংসদ সদস্যদেরকে ই-মেইলে প্রেরণের জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রায় ও আদেশের অনুলিপি সকল পক্ষকে দ্রুত অবহিত করতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রায়ে বলা হয়েছে, দ্বীপ সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ সম্মত টেকসই উন্নয়নের নিমিত্তে বিশ্বে সর্বপ্রথম জাপান রিমোর্ট আইল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট এক্ট নামে একটি আইন ১৯৫৩ সালে প্রণয়ন করে। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও দ্বীপ উন্নয়নের গুরুত্ব অনুধাবন করে ২০১৭ সালে আইল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি নামে একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর দ্বীপসমূহের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে দেশটি। বাংলাদেশেও দ্বীপ সমূহের উন্নয়নের জন্য দ্বীপ উন্নয়ন আইন দ্রুত প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
এছাড়া প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন সংশোধন করে যুগোপযুগী করা জরুরি বলেও মনে করেন হাইকোর্ট।
আদারত বলছেন, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ ও কৃষি জমি সুরক্ষা ও ব্যবহার আইন, ২০১৬ খসড়া আইন প্রণয়ন করা হলেও কোনো এক অজানা কারণে এটি এখনো আলোর মুখ দেখছে না।
Leave a Reply